বনে বনে, পথে পথে নদীতে খালে, বিলে ঝিলে সারাদিন ছোটাছুটি কলেজ ফাঁকি দিয়ে মিছিল মিটিং আর মারামারি পড়ালেখা গেল টুটি।
একদিন কোন এক কারণে পুলিশের হাত থেকে পালাতে নদীর পাড়ে একা একা ছিলাম বসে বিষণ্ণ মন নিয়ে জলের দিকে তাকিয়ে হঠাৎই দেখলাম একজোড়া নিষ্পলক চোখ আছে তাকিয়ে যা আমি আজও ভুলতে পারিনি আমার সেই প্রিয়ার চাহনি।
প্রিয়াকে পাওয়ার আশায় সবকিছু ছেড়ে দিয়ে পাড়ি জমালাম শহরে কাজের খোঁজে স্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে আবারো দেখলাম যা আগে কখনো দেখিনি আমার সেই প্রিয়ার চাহনি।
হৃদয়ের সে কি শিহরন বুকের মধ্যে সে কি ধিপ ধিপ গাল বেয়ে পরা সে কি অশ্রুজল যা বহমান ধারায় ঝরেছিল অনর্গল। একবার মনে চাইল, না থেকেই যাই কাজের কোন দরকার নাই, আমার পাশে প্রিয়া থাকলে আর কিছুর কি দরকার আছে ? সেই প্রিয়াকে ছেড়ে আসতে মনটা যে আর মানে না রে ! নাহ! পাগল নাকি ? কাজ না করলে খাব কি? প্রিয়াকেই বা খাওয়াব কি? এই ভেবে মনটাকে নাড়া দিয়ে শহরে দিলাম পাড়ি। সারাটা পথ আমার চোখের সামনে দিয়েছিল উঁকি, যা আমি আজও ভুলতে পারি নি আমার সেই প্রিয়ার চাহনি।
কত রাজ্যের স্বপ্ন দেখা মাঝরাতে জেগে ওঠা, মনের মাঝে ভীষণ ব্যথা কতদিন হয়ে গেল নাই আমার প্রিয়ার দেখা।
নাহ । এবার গিয়ে, বিয়ে করে, প্রিয়াকে নিয়ে চলে আসবো শহরে। তোমরা যে যাই বলো ভাই এবার আমার প্রিয়াকে চাই-ই চাই। গ্রামে আসতে গিয়ে সারাটা রাস্তা শুধু চিন্তা-ভাবনা আর যত কল্পনা। মনের মাঝে থেকে থেকে বারে বারে জেগে ওঠে যা আমি তখনও ভুলেনি আমার সেই প্রিয়ার চাহনি।
অবশেষে গ্রামে আসা কত স্বপ্ন কত আশা, পরিপূর্ণ করতেই হবে আমার ভালোবাসা। গ্রামে এসে যা শুনলাম মনে হয় আকাশ থেকে পড়লাম। দুর্বৃত্তদের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে দিল গলায় ফাঁসি, আর কোনদিনই দেখতে পাবনা আমার সেই প্রিয়ার চাহনি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।